পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ

আসসালামু 'য়ালাইকুম! পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ কি হাদিস সম্মত? এ বিষয়ে ওলামায়ে কেরাম কি বলেছেন? সে বিষয়ে আলোচনা করব।নামাজ হলো ইসলামের মৌলিক পাঁচটি স্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ এবং প্রধান ইবাদত। কালিমার পরেই নামাজের অবস্থান। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য ফরজ করেছেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত করাও ফরজ। শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত করা নয় যেকোনো কাজের নিয়ত করাই ফরজ। আজকে আর্টিকেলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ এ বিষয়ে আলোচনা করব, ইনশাআল্লাহ। 



পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


 

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে

নিয়ত হলো ইচ্ছা। নামাজের আগে নিয়ত করা ফরজ। নামাজের নিয়ত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।  যে কোনো ইবাদতের নিয়ত করা ফরজ। নিয়ত ব্যতীত ইবাদত হয় না। প্রত্যেক ব্যক্তি যেটার নিয়ত করেছে সেটার জন্য সেই ব্যক্তি সাওয়াব পাবে। 


তবে নিয়ত মুখে বলা ফরজ কিংবা সুন্নত কোনোটিই নয়। নিয়ত করা হয় মন থেকে কিন্তু নিয়ত বলা হয় মুখ থেকে যেমন 'নাওয়াইতু আন...' নিয়ত বলা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদেরকে নিয়ত বলা শিখিয়ে যান নি। কিন্তু আমরা ছোটবেলা থেকেই মুখে নিয়ত বলা 'নাওয়াইতু আন...' শিখেছি যা বক্তাদি কায়দায়; কিন্তু মক্কা মদিনার কায়দায় এটি জায়েজ নেই। 


প্রায় সকল ওলামায়ে কেরাম একমত পোষণ করেছেন যে, এই ধরনের নিয়ত করা বিদায়াত। কেননা সুন্নাহ দ্বারা এই ধরনের নিয়ত সাব্যস্ত হয়নি। অন্তরের ইচ্ছা প্রকাশ করাই হলো নিয়ত এর জন্য কোন ভাষার প্রয়োজন নেই। 


যেহেতু আমরা ছোট থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে শিখে এসেছি এবং পালন করছি তাই আজকে আপনাদের সামনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ উপস্থাপন করছি। তবে আমরা যেন এই বিদায়াত কে বর্জন করে রাসূলের সুন্নাহকে অনুসরণ করতে পারি ; আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন এবং হেদায়েত দান করুন। 

 

যদিও আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ দিয়েছি কিন্তু আমরা চেষ্টা করব মুখে নিয়ত না বলে ফরজ তরিকায় অন্তরের সংকল্প করে নিয়ত করার। নিম্নে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ দেওয়া হল—



পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


ফজরের নামাজ কয় রাকাত

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য ফরজ করেছেন। তবে এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে ফজরের নামাজ অন্য সব ওয়াক্তের তুলনায় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফজরের নামাজের মাধ্যমে মুমিনের দিবসের সূচনা হয়। পবিত্র কুরআন আল্লাহ তায়ালা 'ফজরের' কসম করেছেন। এর থেকে এটাই স্পষ্ট যে আল্লাহতালা ফজরের ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব অন্য ওয়াক্ত নামাজের তুলনায় বেশি। 


ফজরের নামাজ চার রাকাত। দুই রাকাত সুন্নত এবং দুই রাকাত ফরজ। অনেকে আবার দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে থাকেন। নিম্নে ফজরের নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ দেওয়া হল।



ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِ سُنَّةُ رَسُوْلُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ


উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা রক’আতাই সলাতিল ফাজরি  সুন্নাতু রসু-লুল্ল-হি তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।



ফজরের দুই রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ

 

نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْفَجْرِ فَرْضُ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ


উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা রক’আতাই সলাতিল ফাজরি  ফরদুল্ল-হি তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : ফজরের দুই রাকাত  ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।



যোহরের নামাজ

আল্লাহতালা মুসলমানদের জন্য মেরাজের সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেন।মেরাজ থেকে ফিরে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সর্বপ্রথম যোহরের  নামাজ আদায় করেন। 


জোহরের নামাজ ১০ রাকাত। প্রথমে চার রাকাত সুন্নত তারপর চার রাকাত ফরজ এবং দুই রাকাত সুন্নত। অনেকে এর পরে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করে থাকেন। 



যোহরের চার রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْظُهْرِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ


উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা আরবা'আ রক'আতাই সলাতিল যুহরি  সুন্নাতু রসু-লিল্লি-হি তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : যোহরের চার রাকাত  সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।



যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْظُهْرِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ 


উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা আরবা'আ রক'আতাই সলাতিল যুহরি ফরদুল্ল-হি তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : যোহরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।



যোহরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِ الْظُهْرِسُنَّةُ رَسُوْلِ للَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ



উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা রক'আতাই সলাতিল যুহরি  সুন্নাতু রসু-লিল্লি-হি তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : যোহরের দুই রাকাত  সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।




আসরের নামাজ কয় রাকাত

সকল ফেরেশতাগণ আসর ও ফজরের নামাজের সময় একত্রিত হন। আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, 'রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ফেরেশতারা পালা বদল করে তোমাদের মাঝে এসে থাকেন। একদল দিনে, একদল রাতে। আসর ও ফজরের নামাজে উভয় দল একত্র হয়। অতঃপর তোমাদের রাত যাপনকারী দলটি উঠে যায়।' 


তখন আল্লাহতালা তাদের জিজ্ঞাসা করেন, 'আমার বান্দাদের কোন অবস্থায় রেখে এলে?' অবশ্য তিনি নিজেই এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি জানেন। জবাবে তারা বলে, 'আমরা আপনার বান্দাদের নামাজে রেখে এসেছি। আর আমরা যখন গিয়েছিলাম, তখনও তারা সালাত আদায় অবস্থায় ছিল'। [ বুখারী : ৫৫৫]



আসরের নামাজ ৪ রাকাত ফরজ। আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নত নামাজ রয়েছে। এই চার রাকাত গায়রে মুওয়াক্কাদা। রাসুলুল্লাহ সাঃ এই চার রাকাত নামাজ আদায় করতেন। তাই এই চার রাকাত নামাজ আদায় করা উত্তম। 




পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ




আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعَصْرِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ 


উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা আরবা'আ রক'আতাই সলাতিল 'আছরি ফরদুল্ল-হি তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : আসরের চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।





মাগরিবের নামাজ

মাগরিবের নামাজ অতি বরকতময়। সূর্য ডোবার সাথে সাথে বিলম্ব না করে মাগরিবের নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া উত্তম। সূর্যাস্তের পর বিলম্ব না করে মাগরিবের নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। 


মাগরিবের নামাজ ৫ রাকাত। প্রথমে তিন রাকাত ফরজ এরপর দুই রাকাত সুন্নত।এরপর দুই রাকাত নফল নামাজ অনেকে আদায় করে থাকেন। এছাড়াও হাদিসে ছয় রাকাত আওয়াবিন নামাজে বর্ণনা পাওয়া যায়। 



মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْمَغْرِبِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ 


উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা ছালাছা রক'আতাই সলাতিল মাগরিবি ফরদুল্ল-হি তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : মাগরিবের তিন রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।




মাগরিবের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى رَكْعَتِ صَلَوةِ الْمَغْرِبِ سُنَّةُ رَسُوْ ا الِلَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ



উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা রক'আতাই সলাতিল মাগরিবি সুন্নাতু রসু-লিল্লি-হি তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : মাগরিবের দুই রাকাত  সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।




এশার নামাজ কয় রাকাত


নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এশার নামাজের আগে ঘুমানো এবং নামাজের পর অহেতুক গল্প গুজব করাকে অপছন্দ করতেন। অতিরিক্ত রাত না জেগে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া মুস্তাহাব। তবে নেক কাজের জন্য এশার নামাজের পর জেগে থাকায় ক্ষতি নেই। তবে এশার নামাজ আদায় করে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া উত্তম। 


এশার নামাজ মোট ১৫ রাকাত হলেও অধিকাংশ মুসলমান এশার নামাজ ৯ রাকাত করে আদায় করেন। প্রথমে চার রাকাত ফরজ এরপর দুই রাকাত সুন্নত এবং এরপর তিন রাকাত বিতর নামাজ (বিতরের নামাজ ওয়াজিব)। চার রাকাত ফরজ নামাজের আগে চার রাকাত সুন্নত নামাজ এবং তিন রাকাত বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত নফল নামাজ অনেকেই আদায় করে থাকেন। 



এশার চার রাকাত ফরজ নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْعِشَءِ فَرْضُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ


উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা আরবা'আ রক'আতাই সলাতিল 'ইশায়ী ফরদুল্ল-হি তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : এশার চার রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।



এশার দুই রাকাত সুন্নত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى رَكْعَتَىْ صَلَوةِ الْعِشَاءِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ



উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা রক'আতাই সলাতিল 'ইশায়ী সুন্নাতু রসু-লিল্লি-হি তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : এশার দুই রাকাত  সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।



এশার তিন রাকাত বিতর নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ


نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى ثَلَثَ رَكْعَتِ صَلَوةِ الْوِتْرِوَاجِبُ اللَّهِ تَعَا لَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ


উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন উসল্লিয়া লিল্লা-হি তা’আ-লা ছালাছা রক'আতাই সলাতিল ওয়াজিবুল্ল-হি  তা’আ-লা মুতাওয়াজ্জিহা-ন ইলাজিহাতিল কা'বাতিশ শারী-ফাতি আল্ল-হু আকবার।


বাংলা অর্থ : এশার তিন রাকাত বিতর  নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহ সবচেয়ে মহান।





আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য মেরাজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর মাধ্যমে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। নামাজের নিয়ত করাও ফরজ তবে মনে মনে সংকল্প করে নিয়ত করা। আজকে আর্টিকেলে আপনাদের সামনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের নিয়ত আরবিতে ও বাংলা অর্থসহ উপস্থাপন করেছি। তবে মুখে উচ্চারণ করে নিয়ত করা হাদিস সম্মত নয়; এটি বিদআত। আল্লাহ সকলকে সঠিক বুঝ দান করার তাওফিক দান করুন, আমীন। 
Next Post Previous Post